শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

‘হায়েনায় ছাড়ে না, আমিও ছাড়ি না’

 

ব্যথা ভুলিয়ে রাখতে সাইফকে মুঠোফোনে ভিডিও দেখাচ্ছেন মা-বাবাছবি: মানসুরা হোসাইন

হাসপাতালের বিছানায় দুই বছর তিন মাস বয়সী সাইফের বাঁ হাতে ক্যানুলা লাগানো। আর ডান হাত যতটুকু আছে, তার পুরোটাই ব্যান্ডেজে মোড়ানো। কারণ, হায়েনা তার এই হাতের কনুই থেকে নিচ পর্যন্ত কামড়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে না পারলেও শিশুটির মুখটিতে ক্লান্তি ও ব্যথার ছাপ স্পষ্ট। ব্যথা ভুলিয়ে রাখতে হাসপাতালের বিছানায় মা, বাবা বা নানির কোলে বসিয়ে তাকে মুঠোফোনে দেখানো হচ্ছে ভিডিও। মুঠোফোনে মগ্ন থাকলেও মাঝেমধ্যে ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে সে। আর মুঠোফোন সরিয়ে নিতে চাইলেই করছে চিৎকার।


আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। সেখানে কথা হয় শিশুটির মা, বাবা, নানাসহ অন্যদের সঙ্গে।




ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফের নানা শরিফুল ইসলাম বললেন, ‘হাত তো চিড়িয়াখানার হায়েনা খাইয়্যা ফালাইছে। হায়েনায় ছাড়ে না, আমিও ছাড়ি না। পরে হাতটা ছিঁড়া হায়েনার খাঁচার ভিতরে চইলা যায়।’


গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার হায়েনার খাঁচার কাছে চলে গিয়েছিল সাইফ। তার ছোট্ট হাতের আঙুল খাঁচার নেটের ভেতর দিয়ে ঢুকতেই কামড়ে ধরে হায়েনা। এরপর হাত বাঁচাতে চলে টানাটানি। একপর্যায়ে হাতটি কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


সাইফের পরিবারের অভিযোগ, খাঁচার বাইরে নিরাপদ দূরত্ব রেখে দর্শনার্থীদের দাঁড়ানোর যে নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে, গতকাল ঘটনার সময় সেই বেষ্টনীর দরজা খোলা ছিল। আর সেই সুযোগেই হায়েনাকে কাছ থেকে দেখতে দরজা দিয়ে খাঁচার কাছে চলে গিয়েছিল সাইফ। তবে এতে নিজেদের অসতর্কতার বিষয়টিও অস্বীকার করেনি তারা।


সাভারের জিরানীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন সাইফের বাবা সুমন মিয়া। সুমন মিয়া-শিউলি বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান সাইফ। সে জীবনের প্রথমবারের মতো নানাসহ অন্যদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছিল।


গাজীপুরে থাকেন সাইফের নানা শরিফুল ইসলাম। পেশায় রংমিস্ত্রি। মেয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ায় শরিফুল মেয়েসহ পরিবারের সাত সদস্যকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছিলেন বৃহস্পতিবার। তিনি বললেন, সাইফ তার মায়ের কোল থেকে কখন নেমে গিয়েছিল, তা কেউ খেয়াল করেননি।


শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু নানা বইল্যা একটা চিৎকার শুনি। তারপর তো আমরা হাত ধইরা টানাটানি করতে থাকি। হায়েনার যে কত শক্তি, সেদিন টের পাইছি। দোষ আমাদের ছিল, তা অস্বীকার করমু না। তবে দরজাটা খোলা না থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এই ঘটনার দায় নিব। কিন্তু নাতির হাত তো আর ফিরা পামু না।’


নিরাপত্তাবেষ্টনীর দরজা কেন খোলা ছিল, এ প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, এই দরজা সাধারণত স্টাফরা যখন কোনো প্রাণীর খাঁচায় ঢোকেন, তখন খোলা হয়। দরজা খোলা রাখার কথা নয়। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের গঠিত দুটি তদন্ত চলছে। তদন্তেই আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। তদন্তের আগে এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানালেন, হায়েনাটির বয়স হয়েছে ১৪ বছর। হায়েনা হিংস্র প্রাণী। চিড়িয়াখানায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টার মধ্যে হায়েনার খাঁচায় খাবার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন পর্যন্ত হায়েনাকে খাবার দেওয়া হয়নি। শুধু ক্ষুধার্ত ছিল বলে হায়েনা কামড় দিয়েছে এমন নয়, হায়েনা এমনিতেই হিংস্র প্রাণী।


যাতে কোনো দর্শক কোনোভাবেই নিরাপত্তাবেষ্টনী ডিঙাতে না পারেন, সে জন্য বেষ্টনীগুলো, বিশেষ করে হিংস্র প্রাণী যেগুলোতে থাকে, সেগুলোর বেষ্টনী পর্যায়ক্রমে ৬ ফুট উঁচু করা এবং যেগুলো মেরামতের প্রয়োজন, তা মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান চিড়িয়াখানার পরিচালক।


সাইফের বাবা সুমন মিয়া খবর পেয়ে ছুটে আসেন ছেলের কাছে। তিনি বললেন, ‘চিড়িয়াখানার দরজাটা খোলা না থাকলে বাচ্চাটার আজ এ দশা হইত না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিছে। বলছে, এরপর যা লাগব তা-ও দিব। আমি চাই, নিজেদের ভুলে বা চিড়িয়াখানার গাফিলতির জন্য আর কোনো বাচ্চার যাতে এমন অবস্থা না হয়।’


সুমন মিয়া তাঁর সন্তানের পাশে সবাই যাতে সহায়তায় এগিয়ে আসেন, সে আহ্বান জানিয়েছেন। বললেন, হাতটা অকেজো হয়ে গেল, ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তো রয়েই গেল।


জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিচালক আবদুল গনি মোল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেলা তিনটার দিকে। এখন সে ভালো আছে। তার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।


জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসক মানস দাস জানালেন, বৃহস্পতিবার শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর খুব দ্রুত আঘাতের জায়গা পরিষ্কার করে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। আজ ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছিল, সেলাইয়ের জায়গা ভালো আছে। মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে শিশুটিকে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে শিশুটি এখন পর্যন্ত ভালো আছে।


বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানার এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও আলাদা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শুধু আবেগ দিয়ে কাজ হয় না


শুধু আবেগ দিয়ে কাজ হয় না

শুধু আবেগ দিয়ে কাজ হয় না
ফাইল ছবি

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক আমিন খান এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। চাকরির ব্যস্ততায় দিন কেটে যায়। তবে করোনার মধ্যেই তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে। অভিনয় এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* এখন সময় কাটছে কী করে?

** আমি ফুলটাইম চাকরি করছি। একটি বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে এ চাকরিটি করছি করোনাকালের আগে থেকেই। তাই অন্যদিকে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। ব্যস্ততায় দিন পার হয়ে যায়।

* তাহলে আপাতত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন না?

** সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয় করার কোনো পরিকল্পনা নেই আমার। কারণ করোনা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই আমিও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার পক্ষে নই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, তারপর অভিনয় নিয়ে ভাবব।

* আপনার অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এটি নিয়ে প্রত্যাশা কী?

** প্রায় তিন বছর আগে ‘সাহসী যোদ্ধা’ নামের সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলাম। এটি পরিচালনা করেছেন সাদেক সিদ্দিকী। তবে সেন্সরে যাওয়ার আগে এর নাম পরিবর্তনের কথা শুনেছি। এখনও সিনেমাটির নাম ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’। তবে এটির কাহিনি বেশ মজবুত। আমি কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রেই অভিনয় করেছি। অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি আশা করছি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে।

* আপনার হাতে কি তাহলে অন্য কোনো সিনেমার কাজ নেই?

** না। করোনাকাল না থাকলে হয়তো সিনেমায় অভিনয় করতাম। মাঝে মধ্যে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসত। কিন্তু আমার অনাগ্রহের কারণে এখন প্রস্তাব কম আসে। তবে আরেকটি দারুণ বিষয় ঘটেছে আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে। আমি যতগুলো সিনেমায় অভিনয় করেছি, তার প্রত্যেকটিই মুক্তি পেয়েছে। এদিক থেকে আমি ভাগ্যবান।

* ঢালিউডের কাজের গতিধারা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

** আমি মনে করি শুধু আবেগ দিয়ে কাজ হয় না। কাজের জন্য সবার আগে পেশাদারিত্বের প্রয়োজন হয় বেশি। তবে সময় কিছুটা পাল্টে গেছে। নতুনরা কিছুটা পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। এটি চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক একটি বিষয়। এ ছাড়া শিক্ষিত মানুষদের বেশি বেশি এগিয়ে আসতে হবে।

* ভেজালবিরোধী একটি সচেতনতামূলক কাজ করছিলেন অনেক আগে থেকেই। এটির কাজের অগ্রগতি কী?

** করোনাভাইরাসের কারণেই এটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমি মূলত সারা দেশের স্কুল ও কলেজে এ প্রচারণা কার্যক্রম চালাই। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তখন আবার কার্যক্রমটি শুরুর করার পরিকল্পনা আছে আমার।

রবিবার, ৬ জুন, ২০২১

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হবে এসএসসি পরিক্ষা : শিক্ষাবোর্ড


 চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সব কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ইতোমধ্যে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এজন্য পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকা বোর্ড।

সোমবার (৭ জুন) বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন আহ্বান করে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড বলেছে, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত সব কেন্দ্রকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হবে।

এদিকে কয়েকমাস আগে এসএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। সিলেবাস প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৮৪দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।’

এ পরিস্থিতি গত ১ জুন থেকে এসএসসি’র নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকা বোর্ড। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ চলবে। নন-এমপিও কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন কেন্দ্রের আবেদন না করতে বলেছে বোর্ড।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য নতুন কেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে। এ আবেদন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন কেন্দ্রের জন্য আবেদন বাবদ ৩ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার স্লিপ আদেনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নতুন কেন্দ্র অথবা কেন্দ্র পরিবর্তনের নির্ধারিত ছক ডাউনলোড করে পূরণকৃত ছক আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। প্রস্তাবিত কেন্দ্রটি বোর্ডের অনুমোদন পেলে পার্শ্ববর্তী যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজস্ব প্যাডে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে সুস্পষ্ট ঘোষণাসহ সম্মতিপত্রের মূলকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

সৌজন্যে জাগোনিউজ

এমএইচএম/এমএইচআর/এমকেএইচ

রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

দেশে ভারতীয়সহ ১৪০টি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত।


 দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত কয়েক মাস ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশের ওপরে থাকছে। আর শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হাজারের ওপরে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।


রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর- এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নতুন নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। দেশে এ যাবৎ ২৬৩টি সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ইন্ডিয়ার ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।

তবে এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন কোনো বিষয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে টিকা নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারব। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।

তিনি আরও বলেন, এটা আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনা-বেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে।



সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-৩৬

রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

কানাইঘাটে নদী ভাঙ্গনে শেষ ভিটে মাটি হারিয়ে নিস্ব: অসহায় মুজিবুর রহমান ও কয়েক পরিবার




উপজেলার ০৬ নং কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুরমা নদী ঘেঁষে "ভাটিদিহি' গ্রাম।। 

এ গ্রামে বসবাস করছেন প্রায় তিন হাজারেরও বেশী নারী পুরুষ। ঐতিহ্যে লালিত এ গ্রামে শতবর্ষী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ আছে একটি ঐতিহ্যবাহী একটি মাদরাসা ও বাজার । 

এ গ্রামের কীর্তিমান অনেকেই স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা সমুহের শিক্ষকতা মহান পেশায় জড়িয়ে দেশের শিক্ষিতদের হার বাড়াচ্ছেন। 

দেশ বিদেশে এ গ্রামের অনেক কৃর্তি মান কর্ম জীবনে নিজ নিজ পদ মর্যাদায় সুনামের সাথে দেশের রেমিটেন্স বাড়াতে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

দু:খজনক হলেও সত্য যে ঘাতক সুরমা নদী এ গ্রাম টি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দিন দিন মানচিত্র থেকে বিলীন হচ্ছে।ইতিমধ্যে দিন মজুর মুজিবুর রহমান ও নূর উদ্দিনে'র ভিটে মাটি সুরমা নদীর গর্ভে চলে গেছে।

দিন দিন নদী ভাঙ্গনের হার বেড়েই চলছে। গত কয়েক দিন থেকে আকস্মিক ভাঙ্গনের মুখে পড়ে আব্দুল জলিলের বসবাসের শেষ ভিটা মাটি কাচা পাকা ঘর সহ অবশিষ্ট আঙ্গিনা। ঘাতক সুরমা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে পারেন নি তার শেষ সম্বল ভিটে মাটি।


৬ নং কানাইঘাট সদর ইউ/পির চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন সহ দেশ বিদেশে অবস্হানরত বিত্তবান ব্যক্তি, উপজেলার সমাজ সেবক রাজনীতিবীদ, স্হানীয় বন্যা দুর্যোগ মন্ত্রনালয়,নির্বাহী কর্মকর্তাদের নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে সরেজমিন পরিদর্শন করে ভুমিহীন ক্ষতিগ্রস্হ অসহায় পরিবারের পাশে মানবিক কারনে পাশে দাঁড়ানোর অনুরুধ করছি।


মুসলিম আহমদ নাসিম/কানাইঘাটের কথা

ওবায়দুল কাদের খুব ভালো মানুষ ঃ ফখরুল


সিলেটভিউ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের খুব ভালো মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খুব ভালো মানুষ। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। তাকে বলবো দয়া করে সব সময় দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। দুঃস্বপ্ন না দেখার উপায় আছে। ভালোবাসা সৃষ্টি করুন নিজেদের মধ্যে। অত্যাচারের পথ ছেড়ে দিন। সঠিক গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ পরিচালনা করুন। দেখবেন দুঃস্বপ্ন দেখছেন না।

রোববার (২৩ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনাদের এতো ভয় কেন? কারণ আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আপনারা এখন সামরিক-বেসামরিক আমলাদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। গোয়েন্দাদের সব সময় লাগিয়ে দেয়া হয় সাংবাদিকদের পেছনে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে সরকার শুরু থেকেই দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে চুক্তিকৃত টিকা না পাওয়ায় এবং অন্যান্য উৎসগুলোর সঙ্গে চুক্তি না করায় টিকাপ্রাপ্তি একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। রাশিয়া ও চীন থেকে টিকাপ্রাপ্তিও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বিলম্ব ও অযোগ্যতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ জন্য দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা করোনা আক্রমণের শুরু থেকেই বিকল্প উৎস সন্ধান এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলাম। ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে খারাপ হওয়া এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মহামারি আকার ধারণ করায় জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই বিষয়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং টিকাপ্রাপ্তির রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যর্থতার কারণে সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। টিকাপ্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়টির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।



সৌজন্যে : পূর্বপশ্চিমবিডি
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ জিএসি-২৩

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

গণপরিবহন চালুর সিন্ধান্ত।


 

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চললেও রবিবার থেকে শপিংমল, মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এবার গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ।

এর আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) শপিংমল, মার্কেট খোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানান মালিকরা। দূরপাল্লার বাসও চালাতে চান তাঁরা।

গত ৩০ মার্চ থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন শুরু করে গণপরিবহন। ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউনের আওতামুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতে ৭ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয় দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।

১৪ এপ্রিল ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হলে সিটি করপোরেশন এলাকায়ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আটদিনের জন্য জারি করা সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বেড়েছে। তবে নানা বিধিনিষেধ শিথিল করে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সেবা চালু করা হচ্ছে। এ সুযোগ চান পরিবহন মালিকরাও।

বিভি/এমএস

যে গ্রামের ঘরেই নেই কোন দরজা! ব্যাংকেও নেই কোন তালা

 

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাভাসা জেলার একটি গ্রাম এখন খবরের শিরোনামে। আহমেদনগর থেকে গ্রামটি ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গ্রামটির নাম শিংনাপুর। অনেকে মজা করে একে সিঙ্গাপুরও বলে।  
গ্রামটিতে অবস্থিত শনি মন্দিরের দেবতার নামানুসারেই রাখা হয়েছে এর নাম। ওই মন্দিরের কারণেই গ্রামটি আশপাশের এলাকায় সুপরিচিত।
তবে তার থেকেও যে বিস্ময়ের কারণে গ্রামটি খবরের শিরোনাম, তা হচ্ছে- দুই শতাধিক বসতবাড়ির এই গ্রামটিতে নেই কোনো প্রবেশ দরজা।

চাইলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই যে কেউ যে কারও ঘরে প্রবেশ করতে পারবে। সব বাসিন্দার ঘরের দরজা খোলা থাকে। খোলা থাকে মানে, কারোর বাড়িতেই নেই প্রবেশের দরজা। এ কারণে চাইলেও দরজা বন্ধ করার সুযোগ নেই।
কেবল একটি ঘরের দরজা রয়েছে সেখানে, সেটি হচ্ছে- ওই গ্রামে অবস্থিত একটি ব্যাংকের। দরজা থাকলেও তাতে অবশ্য কোনো তালা ঝোলানো নেই। চাইলে যে কেউ কারও অলক্ষ্যে প্রবেশ করতে পারবে ভেতরে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের শাখা খোলা হয় সেখানে। ব্যাংক খোলার পরিকল্পনার সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আলোচনার করে স্থির করে যে, ব্যাংকের দরজা থাকলেও তা হবে স্বচ্ছ গ্লাসের আর থাকবে না কোনো তালা।
ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষমতা থাকলেও দরজা বানানোর কি সামর্থ্য নেই সিঙ্গাপুরের গ্রামবাসীর? এ কেমন রহস্য?
আসলে গ্রামটিতে প্রচলিত ৩০০ বছর এক লোককথাকে বিশ্বাস করেই ঘরে দরজা লাগান না তারা।
প্রচলিত আছে- প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামটিতে একবার প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বন্যা হয়। বন্যা শেষ হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানাশালা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয় বিশালাকৃতির কালো রঙের একটি পাথর।
এক রাখাল তার হাতের লাঠি দিয়ে পাথরটিকে স্পর্শ করতেই সেটি থেকে নাকি অঝোর ধারায় রক্ত বইতে শুরু করে। গ্রামের সব মানুষ ভয়ে দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। তারপর হঠাৎ করেই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সবাই নাকি ঘুমিয়ে পড়ে।
সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল, তখন সবাইকে স্বপ্নে দেখা দেয় শনি দেবতা। সবাইকে তিনি জানান যে, এই মূর্তি তারই প্রতিমূর্তি। যদি তারা ঠিকভাবে তার উপাসনা করে তা হলে সবার মুক্তি ও নিরাপত্তা দেবেন ঈশ্বর। নইলে এই রক্তের ধারা বন্ধ হবে না।
তার উপাসনার জন্যে দুটি শর্তজুড়ে দেন। প্রথমত এই গ্রামের কোনো জায়গায় পবিত্র মূর্তিটিকে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রামের কেউ তাদের ঘরের দরজা কখনই বন্ধ করতে পারবে না। সেই থেকেই এমনভাবে চলে আসছে গ্রামটিতে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।

ইফতারের আদর্শ খাবার কী?



 এবারের রোজা হচ্ছে গরমকালে। আমাদের দেশে নানা শ্রেণিপেশার বিভিন্ন বয়সীরা রোজা রাখেন। এদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ফলে সবকিছু মাথায় রেখে ইফতারে খাদ্যসামগ্রী তৈরির পরিকল্পনা করতে হবে।বাঙালির ইফতারে প্রথা হয়ে গেছে, ভাজা-পোড়া খাবার দিয়ে শুরু করা। পরে অন্যান্য খাবার গ্রহণ করা। কিন্তু এতে কিছুটা হলেও আমাদের শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ পেট দীর্ঘক্ষণ খালি থাকার পর তাতে তৈলাক্ত খাবার গেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া এসব তৈলাক্ত খাবারের বেশিরভাগই বাইরে থেকে কেনা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একাধিকবার ব্যবহৃত তেলে এসব তৈরি করা। এগুলো খেলে রোজায় ফুড পয়জনিংও হতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতারের খাবারটা দুই ভাগে খেতে হবে। প্রথমে শুধু খেজুর ও পানি বা শরবত দিয়ে ইফতার করা ভাল। এরপর নামাজ শেষ করে দ্বিতীয় ভাগে অন্যান্য খাবার খেতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে দ্বিতীয় ভাগে এসে প্রতিদিন ভাজা-পোড়া খাবার খেলে শরীরে সমস্যা হতে পারে।
এজন্য এগুলোর পরিবর্তে চিড়া, কলা, দই বা একটু সুপ অথবা খিচুড়ি অথবা ভাপে বানানো কিছু পিঠা রাখলে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে। অনেকে আবার সবজি দিয়ে লাল আটার রুটি খেতে পারেন। বড় কথা আমাদের সারা দিনের যে পুষ্টি চাহিদা, তা পূরণের জন্য যে ছয়টি পুষ্টি উপাদান আছে (আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি), সেগুলো ইফতারের খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি।
সৌজন্যে ঃঃ- সময় নিউজ 

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০

কানাইঘাটের ১নং ইউ,পি আল-ইখওয়ান এডুকেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ জনসচেতনতা মূলক পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ

কানাইঘাটে, আল-ইখওয়ান এডুকেশন ট্রাস্টের, সচেতনতা মূলক পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ চলছে।

কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষিপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটিয়ে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় দীপ্ত আদর্শ সামাজিক সংগঠন " আল-ইখওয়ান এডুকেশন ট্রাস্ট " এর উদ্যোগে "করোনা ভাইরাস আতংক নয় সচেতন হোন " কর্মসূচির আলোকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা মূলক পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ চলছে,, সচেতনতা মূলক এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ট্রাস্টের নির্বাহী সভাপতি মাহবুবুর রাহমান ফাহিম। অর্থ সম্পাদক জাকির হুসাইন। প্রচার সম্পাদক জুবায়ের আহমদ। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মারজুক হুসাইন সিপলু। শিক্ষা সম্পাদক তাওহীদ আহমদ,সদস্য তাজুল ইসলাম। সহকারী অর্থ সম্পাদক মাসুম আহমদ সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯

এইচ এস সি ফলাফল এর তারিখ ঘোষণা

আগামী ২০ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ২০, ২১ অথবা ২২ জুলাইয়ের যে কোনো একদিন পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যেদিন চূড়ান্ত হবে সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

রীতি অনুযায়ী, ফল প্রকাশের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী গণভবনে বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফল প্রকাশ করা হয়

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে। তবে ২০ বা ২২ জুলাই ফল প্রকাশের সম্ভাবনা বেশি।

বিডি-প্রতিদিন/

‘হায়েনায় ছাড়ে না, আমিও ছাড়ি না’

  ব্যথা ভুলিয়ে রাখতে সাইফকে মুঠোফোনে ভিডিও দেখাচ্ছেন মা-বাবাছবি: মানসুরা হোসাইন হাসপাতালের বিছানায় দুই বছর তিন মাস বয়সী সাইফের বাঁ হাতে ক্যা...