শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

গণপরিবহন চালুর সিন্ধান্ত।


 

করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চললেও রবিবার থেকে শপিংমল, মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এবার গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ।

এর আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) শপিংমল, মার্কেট খোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানান মালিকরা। দূরপাল্লার বাসও চালাতে চান তাঁরা।

গত ৩০ মার্চ থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন শুরু করে গণপরিবহন। ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউনের আওতামুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতে ৭ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয় দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।

১৪ এপ্রিল ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হলে সিটি করপোরেশন এলাকায়ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আটদিনের জন্য জারি করা সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বেড়েছে। তবে নানা বিধিনিষেধ শিথিল করে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সেবা চালু করা হচ্ছে। এ সুযোগ চান পরিবহন মালিকরাও।

বিভি/এমএস

যে গ্রামের ঘরেই নেই কোন দরজা! ব্যাংকেও নেই কোন তালা

 

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাভাসা জেলার একটি গ্রাম এখন খবরের শিরোনামে। আহমেদনগর থেকে গ্রামটি ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গ্রামটির নাম শিংনাপুর। অনেকে মজা করে একে সিঙ্গাপুরও বলে।  
গ্রামটিতে অবস্থিত শনি মন্দিরের দেবতার নামানুসারেই রাখা হয়েছে এর নাম। ওই মন্দিরের কারণেই গ্রামটি আশপাশের এলাকায় সুপরিচিত।
তবে তার থেকেও যে বিস্ময়ের কারণে গ্রামটি খবরের শিরোনাম, তা হচ্ছে- দুই শতাধিক বসতবাড়ির এই গ্রামটিতে নেই কোনো প্রবেশ দরজা।

চাইলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই যে কেউ যে কারও ঘরে প্রবেশ করতে পারবে। সব বাসিন্দার ঘরের দরজা খোলা থাকে। খোলা থাকে মানে, কারোর বাড়িতেই নেই প্রবেশের দরজা। এ কারণে চাইলেও দরজা বন্ধ করার সুযোগ নেই।
কেবল একটি ঘরের দরজা রয়েছে সেখানে, সেটি হচ্ছে- ওই গ্রামে অবস্থিত একটি ব্যাংকের। দরজা থাকলেও তাতে অবশ্য কোনো তালা ঝোলানো নেই। চাইলে যে কেউ কারও অলক্ষ্যে প্রবেশ করতে পারবে ভেতরে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের শাখা খোলা হয় সেখানে। ব্যাংক খোলার পরিকল্পনার সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আলোচনার করে স্থির করে যে, ব্যাংকের দরজা থাকলেও তা হবে স্বচ্ছ গ্লাসের আর থাকবে না কোনো তালা।
ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষমতা থাকলেও দরজা বানানোর কি সামর্থ্য নেই সিঙ্গাপুরের গ্রামবাসীর? এ কেমন রহস্য?
আসলে গ্রামটিতে প্রচলিত ৩০০ বছর এক লোককথাকে বিশ্বাস করেই ঘরে দরজা লাগান না তারা।
প্রচলিত আছে- প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামটিতে একবার প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বন্যা হয়। বন্যা শেষ হলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানাশালা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হয় বিশালাকৃতির কালো রঙের একটি পাথর।
এক রাখাল তার হাতের লাঠি দিয়ে পাথরটিকে স্পর্শ করতেই সেটি থেকে নাকি অঝোর ধারায় রক্ত বইতে শুরু করে। গ্রামের সব মানুষ ভয়ে দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। তারপর হঠাৎ করেই কোনো এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে সবাই নাকি ঘুমিয়ে পড়ে।
সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল, তখন সবাইকে স্বপ্নে দেখা দেয় শনি দেবতা। সবাইকে তিনি জানান যে, এই মূর্তি তারই প্রতিমূর্তি। যদি তারা ঠিকভাবে তার উপাসনা করে তা হলে সবার মুক্তি ও নিরাপত্তা দেবেন ঈশ্বর। নইলে এই রক্তের ধারা বন্ধ হবে না।
তার উপাসনার জন্যে দুটি শর্তজুড়ে দেন। প্রথমত এই গ্রামের কোনো জায়গায় পবিত্র মূর্তিটিকে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রামের কেউ তাদের ঘরের দরজা কখনই বন্ধ করতে পারবে না। সেই থেকেই এমনভাবে চলে আসছে গ্রামটিতে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।

ইফতারের আদর্শ খাবার কী?



 এবারের রোজা হচ্ছে গরমকালে। আমাদের দেশে নানা শ্রেণিপেশার বিভিন্ন বয়সীরা রোজা রাখেন। এদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ফলে সবকিছু মাথায় রেখে ইফতারে খাদ্যসামগ্রী তৈরির পরিকল্পনা করতে হবে।বাঙালির ইফতারে প্রথা হয়ে গেছে, ভাজা-পোড়া খাবার দিয়ে শুরু করা। পরে অন্যান্য খাবার গ্রহণ করা। কিন্তু এতে কিছুটা হলেও আমাদের শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ পেট দীর্ঘক্ষণ খালি থাকার পর তাতে তৈলাক্ত খাবার গেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া এসব তৈলাক্ত খাবারের বেশিরভাগই বাইরে থেকে কেনা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একাধিকবার ব্যবহৃত তেলে এসব তৈরি করা। এগুলো খেলে রোজায় ফুড পয়জনিংও হতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতারের খাবারটা দুই ভাগে খেতে হবে। প্রথমে শুধু খেজুর ও পানি বা শরবত দিয়ে ইফতার করা ভাল। এরপর নামাজ শেষ করে দ্বিতীয় ভাগে অন্যান্য খাবার খেতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে দ্বিতীয় ভাগে এসে প্রতিদিন ভাজা-পোড়া খাবার খেলে শরীরে সমস্যা হতে পারে।
এজন্য এগুলোর পরিবর্তে চিড়া, কলা, দই বা একটু সুপ অথবা খিচুড়ি অথবা ভাপে বানানো কিছু পিঠা রাখলে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে। অনেকে আবার সবজি দিয়ে লাল আটার রুটি খেতে পারেন। বড় কথা আমাদের সারা দিনের যে পুষ্টি চাহিদা, তা পূরণের জন্য যে ছয়টি পুষ্টি উপাদান আছে (আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি), সেগুলো ইফতারের খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি।
সৌজন্যে ঃঃ- সময় নিউজ 

‘হায়েনায় ছাড়ে না, আমিও ছাড়ি না’

  ব্যথা ভুলিয়ে রাখতে সাইফকে মুঠোফোনে ভিডিও দেখাচ্ছেন মা-বাবাছবি: মানসুরা হোসাইন হাসপাতালের বিছানায় দুই বছর তিন মাস বয়সী সাইফের বাঁ হাতে ক্যা...