বাংলাদেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে সত্যিই এক উদাহরণ। এই উদাহরণ
অগ্রগতির উদাহরণ। অর্থনীতি ও আর্থ সামাজিক বেশির ভাগ সূচকে
বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে।
নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আজ নিম্ন
মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশ। এখন স্বপ্ন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম
আয়ের দেশে জায়গা করে নেয়া।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদনে বলেছে,
একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে
প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত
করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
সদ্য বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
কৌশিক বসু। তিনিও প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের অর্থনীতির সূচক
নিয়ে। প্রশংসা করেছেন নিজেদের অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো
সাহসী পদক্ষেপের।
এছাড়া সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে
বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ বলেও মন্তব্য
করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রধান ১২টি সূচকের মধ্যে বেশির ভাগেই
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্য নিম্ন আয়ের দেশের তুলনায়
এগিয়ে গেছে। তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে
বাংলাদেশের বড় ধরনের সাফল্য থাকলেও রাজনীতির শঙ্কা রয়েই
গেছে।
অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির অভাবে অর্থনীতির সাফল্য
পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এ
বছরের শুরুতে অর্থনীতি নিয়ে খুব বেশি ভয় নেই। তবে উদ্বেগ
থেকে পুরোপুরি বের হতে পারছি কী। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যে কোনো সূচকের বিচারে
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশ ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল
দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। দারিদ্র্যের হার
অর্ধেক হয়ে গেছে। মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের
হার দ্রুত বেড়েছে। জনসংখ্যা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর হার, মেয়েদের
স্কুলে পড়ার হার, সক্ষম দম্পতিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গ্রহণের
হার ইত্যাদি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল
অন্যান্য দেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ
হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগেই নেয়া হয়েছে নতুন
পরিকল্পনা সপ্তম ‘পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’। যেখানে দারিদ্র্যতা
আর ক্ষুধার হার আরো নামিয়ে আনার বড় ঘোষণা রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য যে
বেশি, নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন
তা বারবার বলেছেন। তিনি তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যান
আনসারটেইন গ্লোরি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কনট্রাডিকশনস বইয়ে
বাংলাদেশ নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ও রেখেছেন।
বিশ্বব্যাংকের তৈরি করা তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে এখন গড় মাথাপিছু আয় হচ্ছে ৫২৮ ডলার। আর দক্ষিণ
এশিয়ার গড় আয় এক হাজার ১৭৬ ডলার। এক হাজার ৩১৪ ডলার নিয়ে
দক্ষিণ এশিয়াকে প্রায় ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ। সাফল্য আছে
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারেও। বাংলাদেশে এখন এই হার লক্ষ্যমাত্রার
মধ্যেই।
স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ গড়ে বেঁচে থাকত ৪৬ বছর, এখন সেই
গড় আয়ু ৭০ বছর। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার গড় আয়ু হচ্ছে ৬৫ বছর। শুধু তাই
নয়, মেয়েরা সবচেয়ে বেশি স্কুলে যায় এই বাংলাদেশেই। গতকাল
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলেও
অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। পাশের হার ও
মেধার স্বাক্ষরে ছেলেদের পেছনে ফেলেছে তারা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বড়
সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশ শুধু যে মুসলিম প্রধান দেশ, তা নয়;
এটি উত্তর আফ্রিকা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর ভারত
পর্যন্ত বিস্তৃত এমন একটি অঞ্চলের অংশ, যেখানে রয়েছে
মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। এ কারণে
বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নের এই অগ্রগতিকে একটি ‘উন্নয়ন
বিস্ময়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
এর পেছনে কাজ করেছে জনগণের উন্নয়ন-সচেতনতা, গোত্র-বর্ণ
ভেদাভেদহীন সমাজ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর নানা
কার্যকর কর্মসূচি ও সামাজিক উদ্যোগ।
মাঠপর্যায়ের এসব কর্মসূচির মাধ্যমেই দেশের মানুষ নানা ধর্মীয়
গোঁড়ামিকে ক্রমান্বয়ে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয়
পর্যায়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজম নিয়ে যে রাজনৈতিক
বিতর্ক, তা দেশের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় উপাদান হিসেবে তেমন কাজ
করেছে বলে মনে হয় না।
তবে এখনো দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র্য। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ
বলছে, ৬ শতাংশ হারে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জন গ্রামীণ
অর্থনীতিকে চাঙা করেছে। মূলত ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো আয়,
তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং কৃষির সবুজ
বিপ্লব বা এক জমিতে দুই ফসল দরিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বড়
ধরনের ভূমিকা রেখেছে। আবার সরকারও পিছিয়ে পড়া ও
অতিদরিদ্রদের জন্য সামাজিক কর্মসূচি খাতে অব্যাহতভাবে
বাজেট বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের জন্য নারীর অগ্রগতি বড়
ভূমিকা রেখেছে। এটা যে কেউ স্বীকার করবে। পোশাক খাতের ৪০
লাখ শ্রমিকের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এঁরাই
বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিচ্ছেন।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) ঠিক করা হয়েছিল ১৯৯০
সালে। বাংলাদেশও ওই সময় থেকেই ক্রমান্বয়ে এগিয়েছে।
এমডিজি পূরণের বছর ২০১৫। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির
(ইউএনডিপি) তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৮টি লক্ষ্যমাত্রার
মধ্যে বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেকগুলোতে সঠিক পথে আছে, কিছু
ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এমডিজি পূরণের ক্ষেত্রেও
বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ এখন
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
অগ্রগতির উদাহরণ। অর্থনীতি ও আর্থ সামাজিক বেশির ভাগ সূচকে
বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে।
নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আজ নিম্ন
মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশ। এখন স্বপ্ন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম
আয়ের দেশে জায়গা করে নেয়া।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদনে বলেছে,
একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে
প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত
করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
সদ্য বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
কৌশিক বসু। তিনিও প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের অর্থনীতির সূচক
নিয়ে। প্রশংসা করেছেন নিজেদের অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো
সাহসী পদক্ষেপের।
এছাড়া সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে
বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ বলেও মন্তব্য
করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রধান ১২টি সূচকের মধ্যে বেশির ভাগেই
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্য নিম্ন আয়ের দেশের তুলনায়
এগিয়ে গেছে। তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে
বাংলাদেশের বড় ধরনের সাফল্য থাকলেও রাজনীতির শঙ্কা রয়েই
গেছে।
অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির অভাবে অর্থনীতির সাফল্য
পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এ
বছরের শুরুতে অর্থনীতি নিয়ে খুব বেশি ভয় নেই। তবে উদ্বেগ
থেকে পুরোপুরি বের হতে পারছি কী। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যে কোনো সূচকের বিচারে
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশ ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল
দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। দারিদ্র্যের হার
অর্ধেক হয়ে গেছে। মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের
হার দ্রুত বেড়েছে। জনসংখ্যা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর হার, মেয়েদের
স্কুলে পড়ার হার, সক্ষম দম্পতিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গ্রহণের
হার ইত্যাদি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল
অন্যান্য দেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ
হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগেই নেয়া হয়েছে নতুন
পরিকল্পনা সপ্তম ‘পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’। যেখানে দারিদ্র্যতা
আর ক্ষুধার হার আরো নামিয়ে আনার বড় ঘোষণা রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য যে
বেশি, নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন
তা বারবার বলেছেন। তিনি তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যান
আনসারটেইন গ্লোরি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কনট্রাডিকশনস বইয়ে
বাংলাদেশ নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ও রেখেছেন।
বিশ্বব্যাংকের তৈরি করা তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে এখন গড় মাথাপিছু আয় হচ্ছে ৫২৮ ডলার। আর দক্ষিণ
এশিয়ার গড় আয় এক হাজার ১৭৬ ডলার। এক হাজার ৩১৪ ডলার নিয়ে
দক্ষিণ এশিয়াকে প্রায় ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ। সাফল্য আছে
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারেও। বাংলাদেশে এখন এই হার লক্ষ্যমাত্রার
মধ্যেই।
স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ গড়ে বেঁচে থাকত ৪৬ বছর, এখন সেই
গড় আয়ু ৭০ বছর। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার গড় আয়ু হচ্ছে ৬৫ বছর। শুধু তাই
নয়, মেয়েরা সবচেয়ে বেশি স্কুলে যায় এই বাংলাদেশেই। গতকাল
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলেও
অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। পাশের হার ও
মেধার স্বাক্ষরে ছেলেদের পেছনে ফেলেছে তারা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বড়
সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশ শুধু যে মুসলিম প্রধান দেশ, তা নয়;
এটি উত্তর আফ্রিকা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর ভারত
পর্যন্ত বিস্তৃত এমন একটি অঞ্চলের অংশ, যেখানে রয়েছে
মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। এ কারণে
বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নের এই অগ্রগতিকে একটি ‘উন্নয়ন
বিস্ময়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
এর পেছনে কাজ করেছে জনগণের উন্নয়ন-সচেতনতা, গোত্র-বর্ণ
ভেদাভেদহীন সমাজ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর নানা
কার্যকর কর্মসূচি ও সামাজিক উদ্যোগ।
মাঠপর্যায়ের এসব কর্মসূচির মাধ্যমেই দেশের মানুষ নানা ধর্মীয়
গোঁড়ামিকে ক্রমান্বয়ে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয়
পর্যায়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজম নিয়ে যে রাজনৈতিক
বিতর্ক, তা দেশের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় উপাদান হিসেবে তেমন কাজ
করেছে বলে মনে হয় না।
তবে এখনো দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র্য। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ
বলছে, ৬ শতাংশ হারে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জন গ্রামীণ
অর্থনীতিকে চাঙা করেছে। মূলত ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো আয়,
তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং কৃষির সবুজ
বিপ্লব বা এক জমিতে দুই ফসল দরিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বড়
ধরনের ভূমিকা রেখেছে। আবার সরকারও পিছিয়ে পড়া ও
অতিদরিদ্রদের জন্য সামাজিক কর্মসূচি খাতে অব্যাহতভাবে
বাজেট বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের জন্য নারীর অগ্রগতি বড়
ভূমিকা রেখেছে। এটা যে কেউ স্বীকার করবে। পোশাক খাতের ৪০
লাখ শ্রমিকের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এঁরাই
বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিচ্ছেন।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) ঠিক করা হয়েছিল ১৯৯০
সালে। বাংলাদেশও ওই সময় থেকেই ক্রমান্বয়ে এগিয়েছে।
এমডিজি পূরণের বছর ২০১৫। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির
(ইউএনডিপি) তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৮টি লক্ষ্যমাত্রার
মধ্যে বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেকগুলোতে সঠিক পথে আছে, কিছু
ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এমডিজি পূরণের ক্ষেত্রেও
বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ এখন
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।